ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খুলনায় ছাত্রলীগকর্মী রোহান হত্যার উদঘাটন হয়নি ক্লু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৬
খুলনায় ছাত্রলীগকর্মী রোহান হত্যার উদঘাটন হয়নি ক্লু

খুলনা: খুলনার ছাত্রলীগকর্মী সৈকত হাসান রোহান (২৫) হত্যাকাণ্ডের ৩৮ ঘণ্টার বেশি অতিবাহিত হলেও উদঘাটন হয়নি কোনো ক্লু। কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রোহান। রাত ১১টার দিকে পিটিআই মোড়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

সৈকত হাসান রোহান খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল (এমএম) সিটি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র, মহানগর কমিটির সাবেক সদস্য ও  ছাত্রলীগ কলেজ শাখার কর্মী ছিলেন। তিনি মহানগরীর পূর্ববানিয়া খামারের রূহুল আমিন পাইকের ছেলে। মাস খানেক আগে কারাগার থেকে বের হন।

রোহানের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম উল্লেখ করেননি। এজাহারে তিনি বলেছেন, ১০/১২জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

রোহান হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলামের বরাত দিয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইন্সপেক্টর খোন্দকার ফরিদুল আলম শুক্রবার সকালে বাংলানিউজকে জানান, হত্যার ক্লু উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে চলছে আসামি ধরার অভিযান। যেহেতু মামলার এজাহারে বাদী কারও নাম উল্লেখ করেননি, তাই আসামি শনাক্ত করতে খানিকটা সময় লাগছে।

তিনি আরও জানান, রোহানের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে সদর থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা তার।

সুরতহাল রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রোহানের দুই হাতের রগ কাটা ছিলো। একইভাবে ডান পায়ের গোঁড়ালিসহ রগ কাটা, বাম পায়ের উরু-হাঁটুতে জখম ও রগ কাটা ছিলো। এছাড়াও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের কমপক্ষে ১৫টি আঘাত পাওয়া গেছে। আঘাতগুলো চাপাতি অথবা ছুরি দিয়ে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৬
এমআরএম/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।