ঢাকা: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সুন্দরবনের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক মিলনায়তনে ‘জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তির পরিকল্পনা, কর্মপন্থা ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এছাড়া আলোচনা সভায় প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করেন পরিবেশবিদ ড. শামসুদদোহা।
হাছান মাহমুদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতির মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে। অর্থাৎ, এ পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়ম নীতি অনুসরণ করে এটি স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও বলেন, যারা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিরোধিতা করছেন আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। তারা সরকারকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। ফলে সরকারকে এ ব্যাপারে অনেক সতর্ক হতে হচ্ছে। রামপাল বিরোধিতাকারীদের শুধু এতোটুকুই বলবো উদ্বেগ ভালো, তবে বেশি উদ্বেগ ভালো না।
দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখন সোলার প্যানেল বসানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সোলার প্যানেল বসানোর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলেও এখন আধুনিকতার পরিচয় পাচ্ছে। আর এটি সম্ভব হচ্ছে সরকারের সঠিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। কেননা সরকারের কাবিখা ও টিআই প্রকল্পের মাধ্যমে এখন গ্রামাঞ্চলে সোলার প্যানেল বসানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
স্রেডার চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার বলেন, দেশে বর্তমানে ৮৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ। এবং এই ৫৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় ৬ হাজার ১৮৮ মেগাবাইট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এছাড়া বাকি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থাপন কাজ শেষ হলে আমাদের চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালে ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পেতো, আর এখন দেশের ৭৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ফলে ক্রমশ দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।
উক্ত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৬
এসজে/এএ