সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাহমুদ মোল্লা (৫২) নামে এক পথচারীও গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বেজেরডাঙ্গা রেল স্টেশনের কাছে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান, জনি মোল্লা রাতে একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ৪/৫ জনের একদল মুখোশধারী খুব কাছ থেকে জনিকে গুলি করে। এরপর তারা কয়েক রাউন্ড এলোমেলো গুলি এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই গুলিতে মাহমুদ নামে ওই পথচারী ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসী জনিকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ফুলতলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ আলী ইয়াসিন জানান, নিহত জনি ফুলতলা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। সন্ত্রাসীরা তার পিঠে গুলি করে হত্যা করেছে।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, নিহত জনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ অর্ধডজন মামলা রয়েছে। গত বছর ৩০ জুন তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। এছাড়া নিহত জনি ফুলতলার চরমপন্থি ও সন্ত্রাসী সালাম বাহিনীর ক্যাডার ছিলেন।
খুলনা পুলিশ সুপার (এসপি) নিজামুল হক মোল্লা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
এমআরএম/আরআইএস/আরআই