রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ সময়ের সহকর্মীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। রাজধানীর ঝিগাতলা সুরঞ্জিতের বাড়িতে ও পরে তার মরদেহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নেওয়া হলে সেখানে নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আমীর হোসেন আমু আরও বলেন, তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে বৃহত্তর সিলেটসহ গোটা দেশেই শূন্যতা সৃষ্টি হলো। তিনি ছিলো আইন ও সংসদে বিশেষজ্ঞ। সংবিধানে তার ছিলো অগাধ জ্ঞান। যখনই সঙ্কটে পড়তাম তার শরণাপন্ন হতাম, বলেন আমীর হোসেন আমু।
বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বড় অধ্যায় হারিয়ে গেলো... তার বাচনভঙ্গি, যুক্তি-তর্ক ছিলো অনুকরণীয়। ২৬ বছর বয়স থেকে তিনি ছিলেন সংসদ সদস্য। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর মৃত্যুতে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সকাল থেকেই যাচ্ছিলেন সুরঞ্জিতের ঝিগাতলার বাড়িতে। সেখানে তারা পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। সহমর্মীতা জানান। আর স্মরণ করেন দেশের রাজনীতিতে মেধাবী মুখ হিসেবে সুপরিচিত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দিনগুলো। সংসদ ও সংবিধানকে কার্যকর করে তুলতে যার ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এমপি সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন অতুলনীয় পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন। তার মতো আর একজনও পার্লামেন্টারিয়ান নেই। তরুণ বয়স থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজনীতিকে তিনি ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যুতে জাতি এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পার্লামেন্ট সম্পর্কে তার যে জ্ঞান ছিল তা অতুলনীয়। পার্লমেন্টের সার্বভৌমত্বে আঘাত হয় এমন কিছু ভুল হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করতেন। সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে, সংশোধনের ক্ষেত্রে তিনি তার অভিজ্ঞতার ছাপ রেখে গেছেন। ’
বাংলাদেশ সময় ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমএমকে