শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে আহত অবস্থায় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিপ্লব শার্শার উলাশি ইউনিয়নের জিরেনগাছা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এবং নাভরণ ডিগ্রি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, বিপ্লব বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় এমপি শেখ আফিল উদ্দিন গ্রুপের জিরানগাছা গ্রামের হাসান মেম্বারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। শনিবার রাতে মাটিকুমড়া গ্রামে ধর্মীয় সভা শুনতে যান বিপ্লব। এসময় হাসান মেম্বার ও তার লোকজনের সঙ্গে বিপ্লবের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা বিপ্লবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এঘটনা দলীয় নেতাকর্মীরা জানলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নাভারণ বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। আটকে যায় শতাধিক যানবাহন।
উপেজলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেন বলেন, এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। দ্রুত হত্যাকারীদের আটক না করা হলে ছাত্রলীগ অন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
শার্শা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুরাদ হোসেন রাত ১২টায় বাংলানিউজকে জানান, আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ অপরাধীদের আটকের চেষ্টা করছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এজেডএইচ/এএ