কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণার এক দিন পর আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে না থাকা এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় আমীর এজাজ খানকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারণের দাবিতে রাজপথে নেমেছে দলের ক্ষুব্ধ নেতাদের একটি অংশ।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সদ্য বিলুপ্ত জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সদ্য বিলুপ্ত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী জুলু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমির এজাজ খান সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দলীয় কর্মসূচিতে তাকে সে সময় পাওয়া যায়নি। অথচ তাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। যে কারণে নেতা-কর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাকে বহাল রাখা হলে দলীয় কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন না। আমরা তার অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
সমাবেশে ৯ থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জেলা যুবদলের সাবেক দফতর সম্পাদক জিএম রাসেল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার নিষ্ক্রিয় এজাজের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারণের দাবিতে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি এবং কুশপুতুল দাহ করেছি। এতেও যদি তার অপসারণ না হয় তাহলে খুলনা আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠবে।
এর আগে, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে অধ্যাপক মাজিদুল ইসলামকে সভাপতি, অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনাকে সাধারণ সম্পাদক ও আমীর এজাজ খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫ সদস্যের আংশিক জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
সাত বছর পর সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে নতুন এ আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস/এসএইচ