এছাড়া ঘটনার দিন আটক কামরুজ্জামানের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন কালভার্ট রোডের ৩৭/২ নম্বর ভবনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীরের অফিসে গুলির ঘটনাটি ঘটে।
গুলিবিদ্ধ মোশারফ রূপগঞ্জ গাউছিয়া এলাকার বাসিন্দা ও রূপগঞ্জের আওয়ামী লীগ কর্মী। মোশারফ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার রাতে কামরুজ্জামানসহ আটজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে কামরুজ্জামানের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কামরুজ্জামান সংসদ সদস্য গাজী দস্তগীরের এপিএস বলে জানা যায়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাসুদ রানাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না কার পিস্তল থেকে গুলি করা হয়েছে। সেটা জানতে আরেকটু সময় লাগবে। তবে মামলার বাদী রুহুল আমিন ও আসামি মাসুদ রানার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
আটক হওয়ার আগে কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার দুপুরে এমপি দস্তগীরের অফিসে রূপগঞ্জ থেকে ১০/১২ জন আওয়ামী লীগ কর্মী দেখা করতে আসেন। সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে কোনো একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে কোনো একজনের ছোড়া গুলিতে মোশারফ গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার সময় এমপি অফিসে ছিলেন না।
মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে একটি গুলিই করা হয়। দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়নি। ওই অফিসে কামরুজ্জামানের কক্ষে পূর্ব শত্রুতার জেরে একজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে মোশারফ গুলিবিদ্ধ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
পিএম/আরআর/টিআই