বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হল মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. হাসান মাহমুদ।
শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে, পদ্মার ঢেউ বিশ্বব্যাংকে, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ষড়যন্ত্রকারীর চরিত্র করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
খালেদা জিয়াকে বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে, তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ন্যূনতম লজ্জা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। আজ আমি বলতে চাই, ওনার ন্যূনতম লজ্জা থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত।
বিএনপির নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইসিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা যখন সফল হয়নি, তখন তারা ফের নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা বলছে।
সংবিধানের আলোকেই বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো হেরফের হবে না। সারা পৃথিবীর এক নিয়ম, আর বিএনপির কাছে আরেক নিয়ম, তা তো হতে পারে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কোনো সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ওই সময় সব কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। সব কিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকে। সরকার কেবল তার নিয়মিত কাজগুলো করবে।
সংগঠনটির নেতা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, মো. জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এএ