শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে মহানগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রস্তাবের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন না ঘটিয়ে তিনি একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন। যিনি বিতর্কিত ও দলীয়। তার অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
সংবিধান পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান রচিত হয়েছে জনগণের প্রয়োজনে। জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকতো না। এখন আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাজহারুল হান্নান সভায় সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন সংগঠনের জেলা শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. শেখ মো. আখতার-উজ-জামান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ।
আলোচনায় অংশ নেন খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনা প্রমুখ।
এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমআরএম/এএ