এত লোকের আপ্যায়ন করতে গেলে প্রেসকনফারেন্সের সঙ্গে খানাপিনার এলাহি আয়োজনটাও রাখতে হয়। সেই জন্যই বোধ হয় এগুলো এড়িয়ে চলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ২০ দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য বুধবার (১২ এপ্রিল) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে খালেদা জিয়া নিজেই দাওয়াত দিলেন সাংবাদিকদের-‘আপনাদের জন্য একটু আপ্যায়নের ব্যবস্থা আছে। প্রধানমন্ত্রী তো দিল্লি থেকে লাড্ডু নিয়ে এসেছেন। আমি আপনাদেরকে বাংলাদেশি লাড্ডু খাওয়াবো।
প্রথা ভেঙে তার এই আপ্যায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লির লাড্ডু’র কারণেই! কেন না চব্বিশ ঘণ্টা আগে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের দিল্লির লাড্ডু খাওয়ার দাওয়াত দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে মমতাময়ী দুই নেত্রীর ‘লাড্ডু আপ্যায়ন’ সবারই ভালো লাগার কথা। তাই বোধ হয় প্রেস কনফারেন্স শেষে গুলশান কার্যালয়ের নিচ তলার কনফারেন্স রুম থেকে উপর তলায় খালেদা জিয়ার দপ্তরে প্রবেশের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত সাংবাদিকদের দেশি লাড্ডু খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে গেলেন। বললেন, আপনারা কিন্তু দেশি লাড্ডু না খেয়ে যাবেন না!
এর আগে অবশ্য খালেদা জিয়ার প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান সোহেলও সবাইকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করেন আপ্যায়ন গ্রহণের জন্য। তিনিও বলেন, আপনাদের জন্য সামান্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা আছে। গ্রহণ করলে কৃতার্থ হবো।
ফলে অনেক সিনিয়র সাংবাদিকও হাসিমুখে লাড্ডুর প্যাকেট গ্রহণ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের সম্মান রক্ষায় কেউ কেউ কার্যালয়ের ভেতরে দাঁড়িয়েই প্যাকেট খুলে খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু......। কোথায় লাড্ডু? খাবার আইটেমে- চমচম, রসগোল্লা, নিমকী, সিঙ্গারা! তারপরও নববর্ষের আগে খালেদা জিয়ার এই দরদী আপ্যায়নে সবাই তুষ্ট। বোধ করি মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপ্যায়নেও তৃপ্ত ছিলেন সাংবাদিকরা!
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এজেড/