শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে বৃষ্টি ও বাইরে থেকে পানি এসে আমাদের হাওর অঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি, আজকে প্রয়োজন ঐক্যের, প্রয়োজন শান্তির, প্রয়োজন কল্যাণের। আসুন বাংলা নতুন বছরে শপথ করি, দেশের মানুষের দুঃখ-দুদর্শা দূর করবো এবং জনগণের কল্যাণ করবো।
নববর্ষ যেন বাংলাদেশের মানুষের মনের সত্যিকারের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা কী চাই?আমরা চাই গণতন্ত্র, আমরা চাই উন্নয়ন, আমরা চাই শান্তি, আমরা চাই জনগণের কল্যাণ, প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, শিক্ষা সুযোগ প্রদান ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারো হস্তক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে অনেকেই বাংলাদেশকে দুর্বল করতে চায়। আমরা তা মেনে নিতে পারি না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা সবাইকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, কিন্তু কেউ যদি আমাদের বন্ধু হয়ে প্রভু হতে চায়, সেটা আমরা কখনো মেনে নেবো না, মানবো না। কারো প্রভুত্ব বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করবে না।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) সাহস করে শুধু একটা কথা বলতেই পারতেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দেন, তাহলে আমি সমঝোতা করবো, তা না হলে করবো না। এটা বললে আমরা সবাই তার পাশে থেকে সাহস ও সমর্থন জানাতাম।
জাসাস সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মঈন খান, মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আতাউর রহমান ঢালী, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নুরী আরা সাফা, আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, হেলেন জেরিন খান,আমিরুল ইসলাম খান আলীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, নিপুন রায় চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু,শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের জুয়েল, রাজীব আহসান প্রমুখ।
নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান সমাবেশে রূপ নেয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় লাল পেড়ে ঘিয়ে রঙের সুতির শাড়ি পরে খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানস্থলে আসেন; গাড়ি থেকে নেমে সমবেতদের উদ্দেশে হাত নেড়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
এজেড/এসএইচ