ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি পরাজিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি পরাজিত

ঢাকা: শেখ হাসিনার রাজনীতির কাছে বিএনপির সব অরাজনৈতিক কৌশল অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) শিল্পকলা একাডেমির মোহরা কক্ষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজিবনগর দিবসের ইতিহাস সবারই জানা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করে ১০ এপ্রিল ৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়।

১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণের মাধ্যমে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সরকার হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু এ সরকারেরই রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে ১২ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।

বিএনপি এবং তাদের নেতাদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করে, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি করেনা। তারা শুধুমাত্র পাকিস্তানের এবং নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য রাজনীতি করে। যার প্রমাণ তাদের নেতাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট ভাবে পাওয়া যায়।  

মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বার বার খালেদা জিয়ার প্রশ্ন এবং বিএনপির আরেক নেতার সম্প্রতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা- এসব তারই প্রমাণ।
 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের দেয়া বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহায়তা করেছিলো’ এ বক্তব্যই প্রমাণিত হয়, বিএনপির চেতনাই পাকিস্তান।  

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানিয়ে, হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আমরাও আশা রাখি, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করবেন।

‘আওয়ামী লীগ হেফাজতকে কাছে টানছে’ বিএনপির এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে তিনি বলেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতের কোনো বৈঠক হয়নি। বৈঠক হয়েছে কওমী মাদ্রাসার আলেম ওলামাদের সঙ্গে। ২০০৯ সালে সরকারের পক্ষ থেকে কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। কওমী মাদ্রাসার ৬টি বড় বোর্ড আছে, তার মধ্যে মাত্র একটি বোর্ডের প্রধান হচ্ছেন মওলানা আহমেদ শফী এবং বাকী বোর্ডগুলোর প্রধান অন্যরা। যাদের কেউই হেফাজতের সঙ্গে জড়িত নয়। কওমী মাদ্রাসার আলেমদের সঙ্গে বৈঠককে হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক বলার কোনো অবকাশই নেয়।  

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।