মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ১০টি কেন্দ্রের ৭৫টি কক্ষে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে সকাল ৮টায় বিয়ানীবাজার ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিচ্ছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহম্মেদ কবীর খান বলেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে কাঙ্খিত প্রার্থীকে বেছে নেবেন ভোটাররা।
প্রায় ১৭ বছর পর এই প্রথমবার পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোট দিতে পারায় এলাকার জনসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। যে কারণে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগ থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের স্রোত দেখা গেছে।
এদিকে ১০টি নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে সব ক’টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব কেন্দ্রে প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি র্যাব, পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত যানবাহন ব্যতিত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
২০০১ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর মামলা জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রথম বারের মতো ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পৌরসভায় মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন তিন প্রার্থী- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মো.আব্দুস শুকুর, জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের আবু নাসের পিন্টু।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এনইউ/বিএস