ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অরফানেজে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে ৮ মে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
অরফানেজে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে ৮ মে

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অনুপস্থিত থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনে ফের সময় পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে আগামী ০৮ মে পুনর্নির্ধারণ করেছেন রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ৩৪২ ধারায় প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। তবে আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে ফের সময়ের আবেদন জানান তিনি।

     

সময়ের আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে, যা শুনানির অপেক্ষায়।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) হাইকোর্টে এ আবেদন জানান খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁই‍য়া।
 
বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত বদলের আবেদন মঞ্জুরের দেড় মাস পর আবারও করা ওই আবেদনে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়েছে।
 
এর আগে বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেন খালেদা। কিন্তু গত ০২ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি খারিজ করেন বিচারিক আদালত। এরপর আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। যেটি মঞ্জুর হয় ০৮ মার্চ। হাইকোর্ট মামলাটি মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেন।
 
এ আদেশ অনুসারে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম এখন বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে চলছে। বৃহস্পতিবার তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত বিচারক ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ জাহিদুল কবিরের আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ০৮ মে নির্ধারণ করেছেন।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদিন, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল। মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

গত ১৩ এপ্রিল খালেদা জিয়া কামরুল হোসেন মোল্লার প্রতিও অনাস্থা দেন। আদালত সে আবেদন নাকচ করে দিলে বুধবার হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি।
 
খালেদার আইনজীবী বলেন, বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইন শাখার মহাপরিচালক ছিলেন। আর ওই সময় এ মামলাটির দেখ-ভাল করেছেন তিনি। তাই তার প্রতি খালেদা জিয়ার আস্থা নেই।  
 
২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।