হত্যার ঘটনার চার মাস পর রোববার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান এ অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
বাকি অভিযুক্তরা হলেন-আব্দুল কাদের খাঁনের ব্যক্তিগত সহকারী শাজছুজ্জোহা, প্রধান সহযোগী বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার সরকার, তার ভগ্নিপতি সোর্স কসাই সুবল চন্দ্র রায়, চার কিলার মেহেদী (আব্দুল কাদের খাঁনের গৃহকর্মী), আব্দুল হান্নান (ব্যক্তিগত গাড়ি চালক), শাহীন ও আমিনুর ইসলাম রানা।
আট আসামির মধ্যে আব্দুল কাদের খাঁনসহ সাতজন লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জালাল উদ্দিনের কার্যালয়ে এ অভিযোগ পত্র ও মামলার সমস্ত আলমত দাখিল করেন।
এর আগে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন এমপি লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যার এক মাস ২১ দিন পর বগুড়া জেলা শহরে অবস্থিত আব্দুল কাদেরের স্ত্রীর মালিকানাধীন গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেফতার করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। এরপর জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সাবেক এই এমপিকে কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এসআই