এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন।
মঙ্গলবার (০২ মে) ভোরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আহতরা হলেন- কোয়েল মিয়া (৩০), আহামদ উল্লাহ (৩০) ও পপি বেগম (২৮)।
সোমবার (১ মে) দিনগত রাত ৯টার দিকে কলাপাড়া পৌরশহরের মাদ্রাসা রোডের কালভার্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে অভিসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র ও মাছ ধরার চল (টেঁটা) নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অভি গাজী, কোয়েল মিয়া ও আহমদ উল্লাহ ও স্থানীয় চা বিক্রেতা মোসা. পপি বেগম গুরুতর আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভি মারা যান। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কলাপাড়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জে. এইচ খান লেলিন বাংলানিউজকে জানান, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তবে অভির শরীরের ২৫/৫০ স্থানে মারাত্মক ক্ষত হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হওয়ায় তাৎক্ষণিক রক্ত সংগ্রহ করাও সম্ভব হয়নি।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম শাহ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আক্কাস গাজী, বাচ্চু গাজী, সুমন গাজীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অভিসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায়।
পরে রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্ত জন্য পাঠানো হবে। এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি বলে জানান শাহ নেওয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এমএস/আরআইএস/এএ