মঙ্গলবার (০২ মে) রাতে তার গুলশান কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান’ সরকার নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা বার বার বলেছি, এদের (বর্তমান সরকার) অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে আমরা অনেক নির্বাচন দেখেছি। সেগুলো কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না। সেজন্য আমরা পরিস্কারভাবে জাতিকে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি।
দল ও অঙ্গসংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের সব সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে, শ্রমিক দলকেও পূর্ণগঠন করতে হবে। যতই আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হবে ততই এই লুটেরাদের ভয় বাড়বে।
শ্রমিক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাতে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে এই মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতা খালেদা জিয়াকে পুস্পস্তবক নিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ক্ষমতাসীন দলের ‘বেপরোয়া’ কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) এতোই বেপরোয়া হয়ে গেছে, তারা মানুষকে মানুষ মনে করে না। তারা মনে করে পুলিশ বাহিনী আছে আমাদের। তাদের দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করাবো।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সরাসরি দোষারোপ না করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকার তাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে এইসব অন্যায় কাজ করার জন্য। র্যাব বা পুলিশ বাহিনী তারাও মানুষ, তারাও বুঝতে পারবে, তাদেরও পরিবার আছে, আত্বীয়-স্বজন আছে। তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) নিশ্চয় জানে যে, আমাদেরকে দিয়ে এসব কাজ জোর করে করাচ্ছে। পালাবার পর আমাদের ওপরই এর অন্যায়-অপরাধের দোষ পড়বে।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে পুলিশ বাহিনী বা র্যাব বা অন্যান্যরা তারা নিজের উদ্যোগে কিছু করছে, নির্দেশে করছে। সবাই নয়, বেশিরভাগই ভালো। এরা সবাই দোষী নয়। কাজেই এদের সবাইকে এক কাতারে ফেলে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া উচিৎ হবে না বা বিচার করা ঠিক হবে না।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১১
এজেড/বিএস