ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাংগঠনিক সম্পাদক পদ যেন আমাকে ছাড়ে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
সাংগঠনিক সম্পাদক পদ যেন আমাকে ছাড়ে না

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল থেকে: টানা তিনবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন আহমদ হোসেন। ছাত্রজীবনেও ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সাংগঠনিক সম্পাদকের বৃত্তে ঘুরপাক খেয়েই চলছে তার রাজনীতি।

এমন তথ্য জানিয়ে নিজেই বললেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদ যেন আমাকে ছাড়ে না। কবির মতোই উচ্চারণ করলেন, কী আবেশে জড়ালে মোরে....।

’ এরপরই তার কণ্ঠে হতাশার বাণী।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলমকে তদবির করলেও কাজ না হওয়ায় মূলত এমন হতাশা তার।

পোড় খাওয়া এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেই ফেললেন, উপাচার্যকে টেলিফোনে অনেকবার তদবির করেছি। কিন্তু কোনো তদবির টেকেনি। দলীয় নেতাকর্মীরা আমার বাসায় যায়, অনুরোধ করে তদবির করতে। কিন্তু আমার তদবিরে কাজ না হওয়ায় তারা বলেন, কী তদবির করলেন উপাচার্য সাহেব তো শুনেন না।

বুধবার (০৩ মে) বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অকপটে বলেন এমন কথা।

নিজেদের সময়কার ছাত্রলীগ ও বর্তমান সময়ের ছাত্রলীগের মধ্যকার গুণগত পার্থক্যের কথা উচ্চারণ করতেও ভুলেননি শীর্ষ এ নেতা। বলেন, আমাদের সময়ে ছাত্রলীগের মিছিল ছিল মৃত্যুর।

যেদিন নূর হোসেন মিছিলে শহীদ হয়েছিলেন সেই মিছিলে আমি ও মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ ছিলাম।

মৃত্যুর মিছিল থেকেই রাজনীতিতে আমাদের জন্ম। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে তৃতীয়বারের মতো সাংগঠনিক সম্পাদক করেছেন।

মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এখন ছাত্রলীগের মিছিল মৃত্যুর নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মিছিল।

বিএনপিকে কটাক্ষ করে আহমদ হোসেন বলেন, আগামী বছরের শেষ দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন ৩শ’ আসনে তাদের ৯শ’ ক্যান্ডিডেট রয়েছে।

আর খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবো না। একই অঙ্গে তাদের কত রূপ।

দলীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের বক্তব্যের পর মাইকের সামনে দাঁড়ান প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপু মনি।

তার বক্তব্যের সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রথমে তার নামে এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নামে দফায় দফায় স্লোগান দিতে থাকেন।

এতে বিরক্ত হয়ে দীপু মনি বলেন, ‘একটু থামতে হবে ভাই। আমি খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। আপনারা যত স্লোগান দিবেন আমার বক্তব্যও ততো দীর্ঘ হবে’।

এ সময় দীপু মনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তথ্য প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে’।

ছাত্রলীগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন বা নির্বাচন ছাত্রলীগ ছাড়া হয় না। দেড় বছর পরের নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে ছাত্রলীগকে দায়িত্ব পালন করতে হবে’।
 
এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ।

সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উদ্বোধক ও প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস.এম.জাকির হোসাইন।

বাংলাদেশ সময় ০১১০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এমএএএম/আরএ

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।