ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যুবলীগে ঠাঁই নিলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
যুবলীগে ঠাঁই নিলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগের শীর্ষ পদে ঠাঁই নিলেন দুই সন্ত্রাসী সফিকুর রহমান বাদল ও মোশারফ হোসেন মোশা।

জানা গেছে,  সম্প্রতি বাদলকে সভাপতি ও মোশাকে সাধারণ সম্পাদক করে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর মধ্যে র‌্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া বাদল তিনটি হত্যাসহ ২২ মামলার আসামি।

আর মোশার বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি হত্যাসহ ৩১টি মামলা।

স্থানীয়রা জানান, দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ এই ধরনের সন্ত্রাসীদের নিয়ে কমিটি গঠন করায় ত্যাগী নেতারা হয়েছেন পদবঞ্চিত। এ নিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বাদল কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আর ওই এলাকায় এক আতেঙ্কের নাম বাদল। আর মোশা বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন মোশা তার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন নাওড়াসহ আশপাশের এলাকায়।

যুবলীগ সভাপতি বাদলকে দেড় বছর আগে বিপুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্রসহ প্রায় ২২টি মামলা রয়েছে। দুই বছর আগে র‌্যাবের মামলায় বেশ কিছুদিন জেলও খেটেছেন বাদল। অন্যদিকে চারটি হত্যাসহ ৩১ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশা বগুদিন ধরে গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ‍

পালিয়ে থাকায় তার বাহিনীর সদস্যরা ততটা সরব ছিল না। তবে মোশা কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তার বাহিনীর সদস্যরা রূপগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকায় গত কয়েক বছরে জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মোতালিব মিয়ার ছেলে ছিঁচকে চোর মোশা নিরীহ মানুষের জমি দখল শুরু করেন। যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে তখন ভোল পাল্টে তিনি সেই দলের কর্মী বনে যান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি যুবলীগ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। অবৈধ উপায়ে বিশেষ করে নিরীহ মানুষের জমি দখল করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এর পরই গঠন করেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে ৩শ’ সদস্যের একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই সন্ত্রাসী।

রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়েছি যে রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ে যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এ কারণে যুবলীগের স্থানীয় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চরম হতাশ’। ’

এ বিষয়ে তারাব পৌর যুবলীগ সভাপতি আবদুল আউয়াল বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সন্ত্রাসীদের যুবলীগের কমিটিতে রাখায় আমরা আতঙ্কিত’।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।