মঙ্গলবার (০৯ মে) রাতে গুলশান কার্যালয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন কারো নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী লীগের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। ওদের (আওয়ামী লীগ) হাত থেকে দেশকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্র। গণতন্ত্র না জনগণের কল্যাণ হবে না। শুধু ওই দল ও এক ব্যক্তির কল্যাণ হবে।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভান্তে সুমঙ্গল ঘের, চন্দনাইশ বিহারের ভান্তে তিষ্য মিত্র, কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারের বোধীপ্রিয় ভিক্ষু, জ্ঞানপ্রিয় ভিক্ষু, পদ্মা শুভ ভিক্ষু, সুনান্দ ভিক্ষুসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কয়েকজন ধর্মগুরু উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বৌদ্ধ বিহারে আগুন দেওয়ার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদের ওপর কারা অত্যাচার করেছে, আমরা জানি, আপনারাও জানেন। তারা কী করছে, মানুষের জায়গা-জমি দখল করে, লুটপাট করে বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ, থ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সম্পত্তি জবরদখল করছে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেল, আওয়ামী লীগ কখনো মৌলবাদী হয়ে যায়, কখনো বেশি মুসলমান হয়ে যায়, কখনো অতি হিন্দুদের হয়ে যায়, কখনো বেশি বৌদ্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ বহুরূপী। কাজেই আপনারা বুঝতে পারছেন, ওদের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সমর্থন কামনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আফরোজা আব্বাস, নুরী আরা সাফা, সমীরন দেওয়ান, সদ্বীপ দেওয়ান, প্রদীপ চন্দ্র চাকমা, সুনীত তালুকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এজেড/আরআর