সোমবার (১৫ মে) বিকেলে মেয়রসহ গ্রেফতারকৃতদের ঢাকা থেকে সরাসরি নাটোরে এনে আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুল ইসলামের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এসময় তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে বুধবার (১৭ মে) শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা থেকে শাহবাগ থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
অপর তিনজন হলেন-একই উপজেলার চাঁচকৈর মধ্যপাড়া গ্রামের আকুল সোনারের ছেলে আমিরুল সোনার (৩২), মৃত নবীর উদ্দিনের ছেলে বক্স সোনার (৩০) ও গোলাম হোসেনের ছেলে মো. বাবু (২৪)।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১৭ মে) পুলিশের পক্ষ থেকে শাহনেওয়াজ আলী মোল্লার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
ওসি আরো জানান, বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে মেয়রের সমর্থকরা উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় যোগ দিতে গেলে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য সহ ১০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই মনিরুল ইসলাম (২৮) ও আমিনুল ইসলাম রবিন (২৫) নামে দুইজনকে আটক করে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে রাতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মেয়রসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ২শ’ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
আরএ