মঙ্গলবার (১৬ মে) বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা-বিস্ফোরক আইনের দু’টি ও দারুস সালাম থানার নাশকতার একটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
এর মধ্যে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে যাত্রী হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার মামলা দু’টি এবং ০৩ মার্চ দারুস সালাম থানার নাশকতার মামলাটি দায়ের করা হয়।
একই সঙ্গে ওইসব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়া কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ০৭ মে দারুস সালাম থানার নাশকতার দু’টি, ১৩ এপ্রিল দারুস সালাম থানার দু’টি ও যাত্রাবাড়ী থানার একটিসহ নাশকতার তিনটি, গত ০৯ এপ্রিল দারুস সালাম থানার নাশকতার তিনটি এবং গত ২৯ মার্চ শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ককে কেন্দ্র করে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানায় নাশকতার আটটি, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতা, বিস্ফোরক ও হত্যা আইনে তিনটি মামলা করা হয়। ওই ১২ মামলা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন খালেদা।
গত বছর এসব মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান, আদালতের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এ নিয়ে আবেদন করা সবগুলো মামলার কার্যক্রম স্থগিত হলো।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর