মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালে বড়খেরী ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও একই ইনিয়নের হাজী মুজাপ্পর মিয়ার দরজার ভোটকেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে একজন সদস্য প্রার্থী, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের এএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, দক্ষিণ রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সদস্য প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের (মোরগ) লোকজন লাঠি নিয়ে কেন্দ্র দখলে চেষ্টা ও হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষ প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানের (পানির কল) সমর্থকরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সদস্য প্রার্থী মিজান, তার অনুসারী জাহাঙ্গীর, মমিন, হান্নান, দিদার, পুলিশ সদস্য সোহাগ রানা ও রুবেলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি করে।
এদিকে একই ইউনিয়নের মুজাপ্পর মিয়ার বাড়ির দরজার ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টায় বেলাল হোসেনের (মোরগ) সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হন।
পুলিশ ও মেম্বার প্রার্থীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইমাম হোসেন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রিয়াজ উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ এ সময় ১১ রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান ও অপর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আহমেদ মিজানুর রহমান বাংলানিজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
জিপি/আইএ