বুধবার (৩১ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির বটতলা মোড়ে স্থানীয় বিএনপির শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ স্পটে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টায় সেখানে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার আধঘণ্টা আগে সেখানে পৌঁছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের প্রধান দুই নেতা উপস্থিত হওয়ার আগেই সকাল থেকে ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতা-কর্মীরা এসে জড়ো হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ছাত্রদল ও যুবদলের দুই গ্রুপ অস্থায়ী মঞ্চের কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে প্রথমে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
এ সময় বহন করে আনা ব্যানার ও ফেস্টুনের বাঁশ ও কাঠের হাতল দিয়ে পরস্পর পরস্পরকে আঘাত করেন। আঘাতে কয়েকজনের মাথা ও কপাল কেটে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।
তৎক্ষণাত দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। কয়েকজন কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত হন।
তবে ছাত্র ও যুবদলের নেতাদের অভিযোগ বিএনপির কর্মসূচিকে পণ্ড করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, তুরাগ ও বিমানবন্দর থানা থেকে আসা দু’টি মিছিল একই সময় একই স্থানে অবস্থান গ্রহণ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের হস্তক্ষেপে তা দ্রুতই শান্ত হয়।
জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ কর্মসূচি পালন করছেন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) ২৪টি স্পটে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেন তিনি।
দ্বিতীয় দিন বুধবার (৩১ মে) ঢাকা মহানগর (উত্তর) ১৭টি স্পটে দুস্থদের মধ্যে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির বটতলা মোড় ছিল একটি স্পট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এজেড/এসএইচ