বুধবার (৩১ মে) সদর উপজেলা মুনসেফ আদালতে বিচারক এবং উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শেষে শাহ জালালকে ৫১ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ জুন দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে পুনারায় ভোট গণনার দাবিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ জালাল শরীয়তপুর সদর উপজেলা মুনসেফ আদালতের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় দু’পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ খ ম ইলিয়াস, জাজিরা উপজেলা মুনসেফ আদালতের বিচারক মো. নাহিদুজ্জামান, চিকন্দী আইনজীবী সমিতির সভাপতি তপন কুমার চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী শাহ জালাল ও বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী নূর উদ্দিন উপস্থিতিতে পুনরায় ভোট গণনা হয়।
পুনরায় ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ খ ম ইলিয়াস আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী শাহ জালালকে ৫১ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হামিদী বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে পুনরায় ভোট গণনা শেষে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ জালালকে ৫১ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ জালাল বাংলানিউজকে বলেন, পুনরায় ভোট গণনার মধ্য দিয়ে সত্যের বিজয় হয়েছে। যারা ভোট গণনায় অনিয়ম করেছিল তাদের বিচারও দাবি করেন তিনি।
বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী নূর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাকে ও আমার আইনজীবীকে কিছু না জানিয়ে বা নোটিশ না দিয়ে তারা একতরফাভাবে ভোট গণনা করেছে। ভোট গণনার খবর পেয়ে আমি আদালতে উপস্থিত হয়ে দেখি গণনা শেষ পর্যায়ে। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি। আমাকে ভোট গণনায় স্বাক্ষর করতে বলেছিল, আমি স্বাক্ষর করিনি। এ ভোট গণনার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
আরবি/