শুক্রবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) রাতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ঈসমাইল আহমেদ মুবিনকে ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা ব্যাপক মারধর করেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করে সাময়িক বহিষ্কার করে হল প্রশাসন। হল প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বহিষ্কৃত ৮ নেতাকর্মীকে দেওয়া হয়। সেখানে তাদেরকে হল থেকে দেওয়া আইডি কার্ড, চাবি ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, ৩য় বর্ষের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশান সিস্টেমস বিভাগের রবিউল হাসান রানা, আইন বিভাগের আহসান হাবিব সজীব, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবু ইউনুস, ২য় বর্ষের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের কাজী তানভীর আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সামচিতা ব্রীজ প্রান্ত, মার্কেটিং বিভাগের ইবনে কায়েস জিয়া ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াহিদ আনোয়ার রনো।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ ও স্ব স্ব বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, গতরাতে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নৃবিজ্ঞানের ঈসমাইলকে মারধরের ঘটনায় ৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার সময় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে হলের দোকানে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগায় ঈসমাইল আহমেদকে ৩ দফায় ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
এসকেবি/জেডএস