বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) দুপুরে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রেদওয়ান আল রোমান মন্ডল জানান, শ্রীপুর উপজেলার আবদার এলাকার কাজী গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কাজী ফুডসে উৎপাদিত মুরগির মাংস বিক্রির পর এর গিলা-কলিজাসহ বর্জ্য বিক্রি করে দেয়।
পরে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর সরকার বিভিন্ন সময় আকরাম হোসেনের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৬ সালে ২৯ আগস্ট ওই কারখানায় ঢুকে সরকার এন্টারপ্রাইজের পক্ষের লোকজনকে মারধর করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ২ সেপ্টেম্বর আকরাম হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের মামলা করেন।
পরে আদালত শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (তদন্ত) ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন। কিন্তু থানার পুলিশ এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে ওই প্রতিবেদনে বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরবর্তীতে গাজীপুর পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিআইবি) দায়িত্ব দেন। পিআইবি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সম্প্রতি মামলার আসামি শ্রীপুরের গোদার চালা এলাকার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য ইকবাল হোসেনের ছেলে এবং গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরকার, তেলিহাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম সুমন, শ্রীপুর রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ সিদ্দিকীসহ ৬ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
গাজীপুর আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, অভিযোগপত্র দাখিলের পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সে মতে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন জাহাঙ্গীর সরকার, জুনায়েদ সিদ্দিকী, সুমনসহ ছয়জন।
এসময় আদালতের বিচারক মাহবুবা আক্তার অন্যদের জামিন মঞ্জুর করলেও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরকারের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘন্টা, জুন ০৮, ২০১৭।
আরএস/এসএইচ