শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এনপিপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, কালকে দেখলাম আওয়ামী লীগের মহিলারা বলছেন, নির্বাচন চাই না, আমরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় চাই।
দেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ দেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনে হবে। হাসিনা মার্কা নির্বাচন এ দেশে আর চলবে না। হাসিনা মার্কা নির্বাচন বাদ দিতে হবে। এ দেশের মানুষ হাসিনার অধীনে নির্বাচন মেনে নেবে না।
দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। চাল-ডাল-তেল লবণ, সবজি-সব কিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একটু শান্তিতে বাঁচার মতো কোনো অবস্থা নেই।
রোজার পরে মানুষ নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হবে-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকার যে বাজেট দিল, সেটি গরীব মারার বাজেট। বাজেটে আরো নতুন নতুন শুল্ক কর বসানো হয়েছে, ভ্যাটের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
ব্যাংকে এক লাখ টাকা রাখলেই ৮ শ’ টাকা কেটে নেবে। কিন্তু তাদের টাকা তো এ দেশের ব্যাংকে নেই। তাদের সব টাকা দেশের বাইরে। কাজেই তাদের টাকা তো আর কাটা যাবে না। কাটা যাবে সাধারণ মানুষের টাকা। সেই জন্য প্রতিটি মানুষের উচিত, যে যেখানে আছে, সেখানে আলোচনা করা। সেখানে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই অবস্থায় কী দেশ চলবে? এই অবস্থার মধ্যে আমরা কি শুধু হা-হুতাশ করব? আমরা কি না খেয়ে মরবো?-প্রশ্ন খালেদা জিয়ার।
তিনি বলেন, সকলে প্রস্তুত হয়ে আছে। সেখানে কাউকে একটু এগিয়ে যেতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি কখনো ভয় পায় না। তাই আমি মনে করি সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এই জুলুমবাজ সরকারকে হটাতে হবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর দল ও জোটের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এক মঞ্চে ইফতার গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া।
তার সঙ্গে মঞ্চে ইফতার করেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক রেহেনা প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব এজাজ আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ প্রমুখ।
হল রুমের সামনের সারিতে ইফতার গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবীব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিংকন, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমতউল্লাহ, মুসলীম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এজেড/আরআই