ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ধানের শীষে ভোট চাইলেন খালেদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
ধানের শীষে ভোট চাইলেন খালেদা বক্তব্য রাখছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট চেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী নির্বাচনে বিএনপি জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন দিতে ভয় পায়।

প্রত্যেকটি নির্বাচনে তথা ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করেছে। কিন্তু সামনে আর তাদের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। এজন্য বলতে চাই, সামনে আসছে শুভ দিন, ধানের শীষে ভোট দিন। আগামীতে জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল হবে ধানের শীষ। এজন্য ঢাকা সিটিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।

আ’লীগকে এক তরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন হবে সকলের অংশগ্রহণে। কেউ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবে আর জনগণ সেটাকে সমর্থন করবে তা হবে না। সবার অংশগ্রহণ নেই এমন নির্বাচনে জনগণ আ’লীগকে প্রত্যাখ্যান করবে, যোগ করেন খালেদা জিয়া।

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা ভয় পাই না। এমন নির্বাচন হবে যেখানে সবাই ভোট দিতে পারবে। কিন্তু কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচান নয়, হতে হবে সহায়ক সরকারের অধীনে। এখন সময় এই জালেম সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানো। কেননা এই সরকার মানুষকে জ্বালিয়ে মারছে।

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহত সবার মাগফিরাত কামনা করে খালেদা জিয়া বলেন, উদ্বার কাজ এখনও চলছে। খুব দ্রুতই উদ্বার কাজ শেষ হবে। যারা মারা গেছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের সবার চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য সরকারের আরও ভালো নজরদারি করতে হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশের অবস্থা ভালো না। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়েছে। গরিব ‍মানুষ দু-বেলা ভাত খেতে পারছে না। অন্যদিকে চালের কেজি ৫০ টাকা। গরিব মানুষ কীভাবে এতো টাকা দিয়ে চাল কিনে খাবে। আবার গ্যাসের দামও বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে এই সরকার ভালোবাসে না। গরিবের সমস্যা সমাধানেও সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

আ’লীগের সময় ফুরিয়ে এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আ’লীগের একজন নেতা বলেছেন আমাদের সময় শেষ যা করার এখনই করে নাও। এজন্য আ’লীগ লুটপাট শুরু করেছে। যখন যেখানে ইচ্ছা সেখানে হামলা, গুম ও হত্যা করছে। ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে গুম করা হয়েছে। বহু নেতা এখনো নিখোঁজ। আবার অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।   এভাবে রাজনীতি হতে পারে না। রাজনীতি হতে হবে সমঝোতার কিন্তু আ’লীগ করছে মানুষ মারার। আবার পুলিশকে ব্যবহার করে আ’লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে। কিন্তু বাংলার জনগণ কখনও এটাকে মনে নেবে না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জুন ১৪,২০১৭
এসজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।