শনিবার (১৭ জুন) রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল সেন্টারে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রয়াত সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নৌকা ডুবে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারের লোকজন বিভিন্ন স্থাপনা উদ্বোধনের নামে হেলিকপ্টারে ভ্রমন করছেন আর নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। তবে নৌকা যে ডুবে গেছে এটা তারা বুঝতে পারছেন না।
খালেদা জিয়া বলেন, আগামীতে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে প্রত্যেক মানুষ ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাবে।
খালেদা জিয়া একটা নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিধ্বস নিয়ে তিনি বলেন, পাহাড় ধসে যেভাবে এতোগুলো মানুষ মারা গেলো, তাদের উদ্ধার করা ও তাদের পূর্ণবাসনে বর্তমান সরকারের কোনো চিন্তাভাবনা আমরা দেখছি না।
তিনি বলেন, সকাল ১০টায় যেখানে এতো বড় ঘটনা ঘটলো। সেটা জানার পরও কেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বেলা ১২টায় দেশত্যাগ করলেন?
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫২ জন মারা গেছে। এর সংখ্যা হয়তো আরো বাড়বে। অনেকের খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। এতো বড় ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী কিভাবে বিদেশে যান? এটা কী জনগণের প্রতি তার দায়িত্ববোধ? আজকে তিনি দেশে ফিরেছেন। তার মায়াকান্না হয়তো আপনার শুনতে পাবেন!
এ সময় তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের হাত থেকে বাঁচতে চান? তাহলে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, গরীব-সাধারণ মানুষের পক্ষে, সমস্যা-সমাধানের পক্ষে, দেশের শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে পক্ষে তাদের সঙ্গে থাকুন।
জাগপার সভানেত্রী রেহানা প্রধানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জোট নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি ( কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপি‘র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, এনডিপি‘র খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তাজা, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার চৌধুরী বুলবুল, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ,
ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাগপা’র সদ্য প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের সহধর্মিনী অধ্যাপক রেহানা প্রধান, তার মেয়ে ব্যারিস্টার তাহমিয়া প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জাগপার জ্যেষ্ঠ নেতা আসাদুর রহমান খান, আবু মোজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, রাকিব উদ্দিন চৌধুরী মুন্না, খন্দকার আবিদুর রহমান, নিজামউদ্দিন অমিত, শেখ জামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা বেলায়েত হোসেন মোড়ল, শেখ ফরিদ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এএম/বিএস