ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৩ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
খালেদার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৩ জুলাই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ জুলাই পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে রোববার (১৮ জুন) ঢাকার ভারপ্রাপ্ত ৩ নম্বর বিশেষ জজ ইমরুল কায়েসের আদালত বিচারক নতুন এ দিন ধার্য করেন।

খালেদার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা।

আসামি ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে স্থগিত থাকা ৪ আসামির আইনজীবীকে হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন।

এর আগে মামলাটিতে গত বছরের ০৫ মার্চ একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৫ সালের ০৫ আগস্ট মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার করা দু’টি রিট খারিজ করে ২ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু আসামি তানভির, গালিব, শাহাদত ও সানোয়ারের পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় মামলার চার্জ শুনানি করতে পারছেন না বিচারিক আদালত।

ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (প্রয়াত) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতির অভিযোগ করা হয়।

২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়া ও সাবেক ছয় মন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়।

জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত ওই মামলার চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনগুলো করে মামলা বাতিল চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

মামলার ২৪ আসামির মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অন্য ৪ জন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকা।

অন্য আসামিদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ-সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্যাটকো’র পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন এবং বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলার চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো (প্রয়াত) ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।