একজনতো পেছন থেকে বলেই বসলেন, স্যারকে আজ বেশ ইয়াং লাগছে। শুনে মুখে কোনো উত্তর দিলেন না, শুধু মুচকি হাসি দিলেন।
গাড়ি থেকে নেমে বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের নিচতলার ড্রয়িংরুমের সোফায় বসলেন। আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন অনেক নেতাকর্মী। তারা একে একে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাজির হলেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
একটু পরে হাজির পার্টির কো-চেয়ারম্যান ছোটভাই জিএম কাদের, এরশাদের সহধর্মিণী সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। আবার মিরপুর থেকে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে হাজির হন মোটর শ্রমিক পার্টির নেতা মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক।
শোভাযাত্রার সামনে অনেকগুলো মোটরবাইক, তারপরে মোস্তাকুর রহমানের পাজেরো জিপ, এরপর একটি মিনিবাসে কর্মীরা। একে একে হাজির হন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, এমএ সাত্তার, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রিন্টু আনোয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কেউ ফুল হাতে, কেউ আবার আর্ট পেপারে বিশেষ কায়দায় ঈদ মোবারক লেখা নিয়ে হাজির হন এরশাদকে ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে। ঘণ্টাব্যাপী চলে শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় সেখানে। পুরান ঢাকা থেকে আনা হয় মোরগ পোলাও, গরুর রেজালা ও জর্দা।
নেতাকর্মীরা তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে বসে উদরপূর্তি করেন। আর এখান থেকে খাবার পাঠানো হয় বারিধারা প্রেসিডেন্ট পার্কে। যা সাবেক রাষ্ট্রপতির দুপুরের খাবারে পরিবেশন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এসআই/এএ