শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি (নং ৩৮) দায়ের করেন। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০ জন শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বুলবুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৬ জনকে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বেলা ১২টার দিকে গোপন বৈঠকের সময় আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
আটককৃতরা হলেন- শেরপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে শাহাদৎ (২০), ফুলতলা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে নাহিদ হাসান (২১), বোয়ালমারি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মাসুদ রানা (২৩), নন্দীগ্রামের নিনগ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০), ধুনটের চর খুকশিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে আসলাম (২১) ও সারিয়াকান্দি উপজেলার পাইকড়তলী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল (২১)।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) শিবিরের বগুড়া জেলা পূর্ব শাখার উদ্যোগে স্যাটকম অ্যাগ্রো পার্কে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শেরপুর, শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম, ধুনট, গাবতলী ও সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক শিবির নেতাকর্মী অংশ নেয়।
খবর পেয়ে বেলা ১২টার দিকে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। কিন্তু তার আগেই পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে যান শিবিরের কয়েক নেতা। ফলে পুলিশ অভিযান শুরুর আগেই অনেক নেতা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৭
এমবিএইচ/জেডএস