ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘৭২’র সংবিধান খুব ভালো ছিল’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৭
‘৭২’র সংবিধান খুব ভালো ছিল’

ঢাকা: ষোড়শ সংশোধনী বাতিলকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বললেন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য  ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেছেন’ ১৯৭২ সালের সংবিধান খুব ভাল সংবিধান ছিল। সেই সংবিধানকে আপনারাই  তো খণ্ডবিখণ্ড করেছেন।

ডিফাইন্ড করেছেন, ডিফেইজ করেছেন, ট্রাকেড করেছেন। ’ এখন আবার ৭২ এর সংবিধানের কথা বলছেন আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন।
 
শনিবার (০৮ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং  বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, আজ ৭জন বিচারপতি সর্ব সম্মতিক্রমে ১৬তম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের মনের ইচ্ছার প্রতিফল ঘটিয়েছে।
 
সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আজ আপনারা ৭২’র সংবিধানের কথা বলছেন আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আপনারাই ৭২’র সংবিধানকে খণ্ডবিখণ্ড করেছেন চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে। ৭২’র সংবিধান খণ্ডবিখণ্ড করে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার কায়েম করেছিলেন। আপনার কোন মুখে ৭২ সংবিধানে ফিরে যেতে চান। ৭২ সালের সংবিধানের কথা বলেন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন ৭২ সালের সংবিধানকে কি করেছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীণতার কথা বলেন এবং পার্লামেন্টের দ্বারা বিচারকদের অপসারণের কথা বলেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে তখন কি করেছিলেন। সেই সংশোধনীতে কি লিখলেন কোন ইপপিচমেন্ট করা যাবে না। ১১৬ অনুচ্ছেদ কারা বাতিল করেছিল?
 
যারা এসব কথা বলেন, তারা জ্ঞানপাপী, বাস্তবিবর্জিত ব্যক্তি। তাদের বলা উচিত ৭২ সালের সংবিধান আর ছিল না, নেই। যারা রচনা করেছিল তারাই সেই সংবিধানকে ছিন্ন বিচ্ছন্ন করে সমস্ত গণতন্ত্র কেড়ে নিয়ে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন।
 
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ জর্জরিত। আজকে আইনের শাসন নাই, দলীয় শাসন চলছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেশের মানুষের শেষ ভরসা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা যারা বিরোধী রাজনীতি করি তারা ন্যায় বিচার পাই না। বিশেষ করে নিম্ন আদালতে। বলা হচ্ছে বিচার বিভাগ আলাদা করা হয়েছে।   তাই আগামিতে  ক্ষমতায় গেলে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে পৃথক 'সেক্রেটারিয়েট' (সচিবালয়) গঠণ করার কথা  জানালেন সাবেক এই মন্ত্রী।
 
যারা বিচারকদের অপসারণে অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশে বলেন, ওইসব দেশে তো বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ নেই। আজ যেসখল মন্ত্রী আছেন তারা সকলই জনগণের ভোটের নির্বাচিত না।
 
স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এই আলোচনা সভায়  সভাপতিত্ব  করেন  সংগঠণের সভাপতি  ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, নাগরিক ঐক্যের  আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু  নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা,  জুলাই ০৮, ২০১৭/আপডেট ১৫০৯
এসএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।