ফলে বিচারিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার (১০ জুলাই) মওদুদ-মোশাররফের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। খন্দকার মোশাররফের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
জরুরি অবস্থার সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ০৩ জুলাই সম্পদ ও আয়ের বিবরণী চেয়ে মওদুদ আহমদকে নোটিশ দেয় দুদক। এ নোটিশ অনুসারে একই বছরে ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন তিনি। এরপর মধ্যে মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুর্নীতির মামলা দায়ের করে দুদক।
অন্যদিকে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১২ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুর্নীতির মামলা করে দুদক। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন মওদুদ-মোশাররফ। হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দিলে আপিল করেন তারা। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর আপিলও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর দু’জনই আপিলের রায় পুর্নবিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন।
অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান জানান, এখন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা চলতে আর আইনগত বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
ইএস/এএসআর