শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন।
এ আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, গুমের যে তালিকা বিএনপি প্রকাশ করেছে তাদের অনেকেই স্ব-ইচ্ছায় নিখোঁজ। অনেকেই বিভিন্ন মামলার কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে সেসব দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে কাজ করছে, আর বিএনপি এবং ওই দলটির নেতা খালেদা জিয়া জঙ্গিদের পক্ষ নিয়েছেন। যখন জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের তাদের বাবা মাও পরিচয় দিতে চায় না, তখন খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতারা তাদের জন্য মায়া কান্না করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফরহাদ মজহার নিয়ে বিএনপি নেতারা যে সব বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কারণ এ ফরহাদ মজহার সম্পর্কে যে সব তথা বেরিয়ে আসছে তা লজ্জাজনক। ফরহাদ মজহার এখন দেখছি কারো কারো গুরু বাবা। বিএনপি ও এই ফরহাদ মজহার নিজে নাটক সাজিয়ে ছিলো। বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চাই তাদের আরও গুরু বাবা আছে কিনা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. শাহেদা ওবায়েদ বলেন, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। সেখান থেকে তিনি কোনো প্রশিক্ষণ, কি প্রেসক্রিশন নিয়ে এসে আবার দেশে সন্ত্রাস চালাবেন। তিনি যখনই দেশের বাইরে যান তখনেই একটা প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসেন। এ জন্য দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে দেশের মধ্যে কোনো সন্ত্রাস চালাতে না পারে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াতের নেতাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশে সন্ত্রাসবাদের শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়। জিয়া যদি তাই হন তাহলে বিএনপি কিভাবে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে, জামায়াত নেতাদের মন্ত্রী বানায় কিভাবে।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী ওবায়দুর রহমান পরবর্তীতে বিএনপি করেছেন, খুনি মুশতাকের মন্ত্রিসভায় গিয়েছিলেন কিন্তু তার রাজনীতি শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে, আওয়ামী লীগ দিয়ে। সে কারণে আমাকে অনেকে বিএনপির মধ্যে ফেলেন, কিন্তু আমি আজ আবধি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক সদস্যও না। ওবায়দুর রহমানের মেয়ে বিএনপি করে এটা সত্য। চল্লিশ বছরের একটা মেয়ে কি করবে কোনো রাজনীতি করবে সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু জেনে রাখা ভাল তার শ্বশুর আওয়ামী লীগ করেন, শ্বশুরের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ করেন।
অ্যাডভোকেট সাজোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুছ, তাতী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাস গুপ্ত, অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৭
এসকে/এসএইচ