জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদ আহমদ লিটু হত্যাকাণ্ডটি স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
কিন্তু বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অভ্যন্তরে হত্যাকাণ্ডের শিকার লিটু একজন অছাত্র ও মোবাইলের দোকানের স্বত্বাধিকারী বলে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে জানতে পেরেছেন জেলার নেতারা।
বিবৃতিতে জেলা ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন, লিটু একজন বহিরাগত সন্ত্রাসী হিসেবে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে অবৈধ অস্ত্রসহ প্রবেশ করে। যেহেতু বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের কোনো ধরনের কার্যক্রম নেই, সেহেতু অবৈধ অস্ত্র নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে অবাধে প্রবেশ ও অবৈধ অস্ত্রের ম্যাগজিন লোড করতে গিয়ে একটি রুমে অসাবধানবশত নিজের গুলিতে নিহত হয় ব্যবসায়ী লিটু। তাই লিটু কোনোভাবেই ছাত্রলীগের কর্মী বলে বোধগাম্য নয়, এমনটি উল্লেখ করেছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতারা।
সুতরাং বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না মনে করেন জেলা ছাত্রলীগ নেতারা।
সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে শুনেছিলাম লিটু ছাত্রলীগকর্মী। পরে স্থানীয় নেতা ও কলেজ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানলাম তার মোবাইলের দোকান রয়েছে। ৭/৮ বছর ধরে সে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক পাভেল গ্রুপের সদস্য হলেও সে ছাত্রলীগের কেউ নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
এনইউ/জেডএস