শনিবার (২২জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দফায় দফায় স্থানীয় সেবারহাট বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। এতে সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাফর উল্লাহ খান, বীজবাগ ইউনিয়ন যুবদল সেক্রেটারি মো. জাহিদ, বিএনপি নেতা মো. সুমন, সাইফুল ইসলাম, ইয়াকুব নবী সোহাগ, আমিরুল ইসলাম ও মো. তুহিন।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, জয়নুল আবদীন ফারুকের কারামুক্তি উপলক্ষে সেবারহাটে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে নেতাকর্মীরা সেবারহাটে আসতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হলে পুলিশ বিএনপি নেতকর্মীদের বাঁধা দেয়। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন এবং সেবারহাট বাজারে অবস্থান নিয়ে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করার চেষ্টা করেন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সংবর্ধনার স্থলে আসার পথে সকাল থেকে ছমিরমুন্সির হাট সংলগ্ন আজিজপুর পোলের গোড়া, সেনবাগ রাস্তার মাথা ও সেবারহাট বাজারে অবস্থান নিয়ে পথে পথে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলাকারী সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এসআই