সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) আদালতের বিচারক ড. ইমান আলী এ নির্দেশ দেন।
এদের মধ্যে জেএমবি আত্মঘাতি স্কোয়াডের নারী সদস্য কাজিপুর উপজেলার পশ্চিম বড়ইতলা গ্রামের আবু সাঈদের স্ত্রী ফুলেরা বেগম (৪৫), তার দুই মেয়ে শাকিলা খাতুন (১৮) ও সালমা খাতুন (১৬), একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৩৫) ও আব্দুল আজিজের মেয়ে আছিয়া খাতুন আকলিমা (২০) জেলহাজতে রয়েছেন।
এছাড়া জেএমবির শীর্ষ নেতা পাবনা জেলা সদর উপজেলা হেমায়তেপুর বেতেপাড়া গ্রামের মো. আবু মুসা ওরফে আবুজর ওরফে তালহা ওরফে রবিন ওরফে সাগর ওরফে শামীম (৩৪) কাজিপুরের বড়ইতলা গ্রামের মো. আব্দুল হালিম (৪০) ও আখিয়া খাতুন (১৮) পলাতক রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও অ্যাড. ইব্রাহিম খলিল ইমন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কাজিপুর উপজেলার বড়ইতলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে জেএমবির ঢাকা অঞ্চলের সামরিক কমান্ডার ফরিদুল ইসলাম ওরফে আকাশের মা বোনসহ আত্মঘাতি স্কোয়াডের ৪ জন নারী সদস্যকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় জিহাদি বই ও বিস্ফোরক দ্রব্য ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ওই বছর ১৭ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার কড্ডার মোড় থেকে মামলার আসামি জেএমবির আত্মঘাতি স্কোয়াডের আরেক নারী সদস্য আছিয়া খাতুন আকলিমাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী আদালতে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সোমবার দুপুরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, ৩১ জুলাই, ২০১৭
আরএ