সোমবার (৩১ জুলাই) মাগুরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে মামলাটির ২৩ আসামির সবার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। চার্জভুক্ত আসামিরা বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন জানান, ২০১৫ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে মাগুরা-যশোর সড়কের মঘির ঢাল এলাকায় বালু ভর্তি একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ বালু শ্রমিক দগ্ধ হয়। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার মালিকগ্রামে।
দগ্ধ ৯ শ্রমিককে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। ওই দিন রাতে রওশন আলী ও পরে একে-একে শাকিল আহমেদ, মতিন বিশ্বাস, ইমরান হোসেন ও ইয়াদুল শেখ নামে ৫ বালু শ্রমিক মারা যান।
এ ঘটনার পরদিন পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম বাদী হয়ে সদর থানায় জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হক, জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, জেলা জামায়াতের আমির আলমগীর হোসেন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি এমবি বাকের, জেলা ছাত্র শিবির সেক্রেটারি এরশাদ হোসেন, পৌর কাউন্সিলর বিএনপি নেতা কিজিল খান, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ সহ বিএনপি-জামায়াতের ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি পরবর্তীকালে ডিবিতে স্থানান্তরিত হলে ওই বছরের ১৬ আগস্ট তৎকালীন ডিবি ইন্সপেক্টর ইমাউল হক সদর থানা পুলিশের দায়েরকৃত ওই মামলা থেকে ৬ জনকে অব্যাহতি এবং নতুন করে ৩ জনকে আসামিভূক্ত করে মোট ২৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামিদের মধ্যে ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম, সবুজ ও রাসেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দেয়।
পরবর্তীকালে গত ২ বছরে মোট ৫ বার দিন ধার্য করার পরও নানা কারণে চার্জ শুনানি সম্পন্ন হয়নি। অবশেষে ৩১ মার্চ সোমবার মাগুরার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত আলোচিত এ মামলাটির শুনানি শেষে অভিযুক্ত ২৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুর রশীদ বলেন, রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করতে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ৩১ জুলাই, ২০১৭
আরএ