ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ’লীগ-বিএনপির বিকল্প জোট বামদলগুলোর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৭
আ’লীগ-বিএনপির বিকল্প জোট বামদলগুলোর আ’লীগ-বিএনপির বিকল্প জোট গঠন করলো বামদলগুলো

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের বিকল্প জোট হিসেবে সিপিবি-বাসদ এবং গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাসহ আটদল মিলে নতুন জোট গঠন করেছে।

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন নতুন জোটের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এ জোটের লক্ষ্য জনগণের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করা।

দলীয়করণ, দুর্নীতি, লুটপাট ও দলখদারিত্ব রোধ করাসহ বেশ কিছু সমসাময়িক দাবি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন।

নতুন জোটের মাধ্যমে সবাই ঐক্যবন্ধ হয়ে সব শ্রেণী-পেশাসহ জনজীবনের জরুরি বাঁচার দাবি, জাতীয় সম্পদের মালিকানা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আন্দোলন করবো।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

দলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, বাংলদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।
 
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সরকারের ভেতরে ও বাইরে যেসব বাম রাজনৈতিক দল আছে তাদের সাদরে গ্রহণ করা হবে। যারা এই ৮ বাম রাজনৈতিক দলের উপলব্ধিকে অনুভব করে আমাদের দলে শামিল হবে। কিন্তু আমাদের আসল দাবির ভেতরে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র বাইরে বিকল্প গড়ে তোলার দাবি উচ্চারিত হচ্ছে। সুতরাং আওয়ামী জোটে যারা আছেন বা কোনো দল থাকলে সে কিন্তু আমাদের জোটের দাবি সংগ্রামে শামিল হওয়ার ক্ষেত্রে এমনিতেই ডিসকোয়ালিফাইট হয়ে যায়।

আমাদের দাবি যেহেতু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র বাইরে বিকল্প গড়ে তুলতে চাই তাই সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো শক্তিকে সঙ্গে নেয়ার প্রশ্ন উঠে না। তবে সাধারণভাবে আমাদের আহবান শুধুমাত্র বামপন্থীদলগুলোর প্রতি নয়। আমাদের ধারণা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বামপন্থী চিন্তাকে মনের মধ্যে ধারণ করে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে- তাদের সবার কাছে এ জোটে শরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
 
তাদের প্রতি আহ্বান ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন কাফেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, নতুন অভিযান শুরু করেছি, আমাদের সমৃদ্ধ করে তুলুন। আপনারা যোগ দিলে কার্যকর বিকল্প গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

সেলিম বলেন, দলীয় সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন চাই না। তাদের অধীনে কালো টাকা, প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন হয়।

তাই আমাদের দাবি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন। যাতে সরকার নির্বাচনে কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে না পরে। তাহলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, সেজন্য নির্বাচন ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ এর আগে এরশাদ, জিয়া, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে যত নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচনে সরকার জনগণের ভোটের রায়কে প্রভাবিত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম,বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক আবুল হোসেন রুবেল, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।