ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাবির হল থেকে ১২ শিবিরকর্মীকে পুলিশে দিলো ছাত্রলীগ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৭
রাবির হল থেকে ১২ শিবিরকর্মীকে পুলিশে দিলো ছাত্রলীগ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে শিবির নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে শিবিরের বিভিন্ন নথি, কম্পিউটার ও নগদ ১৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

আর মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিবির কর্মীরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল হাসান নাফিস, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ, বোটানি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, পরিসংখ্যান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম, জোহা হল শাখা শিবিরের সেক্রেটারি ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহানুর আলম হিমেল, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাহেব রানা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রাকিব, আরবি সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের নাবিউল ইসলাম, একই বিভাগের মাস্টার্সের অলিউল ইসলাম ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু রাত ১২টার দিকে হলের ১৪৩ নম্বর কক্ষে সাহেব রানাকে শিবিরকর্মী সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।  

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হলের ১৪৮, ১৫৫, ১৫০, ২৪৯, ২৫৪, ২৭৬, ৩৫৮, ৩৬০ ও ৩৬২ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে আরও ১১ শিবির কর্মীকে আটক করেন তারা। বিভিন্ন কক্ষ থেকে জিহাদি বই, রিপোর্ট বই, ডায়রি, অর্থ বিভাগের ১৯ হাজার টাকা ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর নামের তালিকাসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়।  

এসময় তাদের বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ভোর ৪টার দিকে মতিহার থানা পুলিশের কাছে শিবির কর্মীদের হস্তান্তর করা হয়।  

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সোহরাওয়ার্দী হলের সাহেব রানা ও নাবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে শিবির কর্মী হিসেবে এবং একজনকে সন্দেহজনকভাবে পুলিশে সোপর্দ করি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহবুব হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ অভিযান চালানোর সময় আমরা হলে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু হল প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় আমরা অভিযানে অংশ নেইনি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১২ জন শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন। অধিকাংশই শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। মারধরের কারণে তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।