ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দুর্বৃত্ত রোধে সেনাবাহিনী নিয়োগের আহ্বান হাফিজের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
দুর্বৃত্ত রোধে সেনাবাহিনী নিয়োগের আহ্বান হাফিজের দুর্বৃত্ত রোধে সেনাবাহিনী নিয়োগের আহ্বান হাফিজের

ঢাকা: 'যদি প্রয়োজন হয় তবে সেনাবাহিনী দেয়া হবে'- প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেয়া এমন  বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাহলে কি র‌্যাব ও আওয়ামী পুলিশ বাহিনীর হাতে অসহায়ভাবে আমরা নির্বাচনে যাবো?

দুর্বৃত্তের হাত থেকে ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে না দিয়ে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।  

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত 'ষোড়শ সংশোধনী বাতিল এবং গণতন্ত্রের যাত্রা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

 

মেজর হাফিজ বলেন, আজকে স্টাইকিং ফোর্সের কথা বলা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেউ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। ভোট দিতে পারেনি। অথচ সেনাবাহিনীর স্টাইকিং ফোর্স মোতায়েন ছিল। এ মোতায়েন ছিল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। সেনাবাহিনীর অফিসে। তারা বাইরে আসতে পারেনি। আওয়ামী লীগ বলে তারা স্টাইকিং ফোর্স মোতায়েন করেছিল। আবারো খুব চাপে পড়লে এ ধরনের স্টাইকিং ফোর্স মোতায়েন করবে। তারা বাইরে আসতে পারবে না।  

দুর্বৃত্তায়নের পরিমাণ বেড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ভোটকেন্দ্রে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে রামদা ও অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। যারা ভোট দিতে যাবে তাদের কুপিয়ে জখম করা হবে। সুতরাং আমরা চাই, সেনাবাহিনী নিয়োগ। তারা হলে নির্বাচন কেন্দ্র থেকে দুর্বৃত্তরা দূরে থাকবে। এবং দুই মাস আগে থেকে দুর্বৃত্তদের থেকে অস্ত্র উদ্ধার করবে। পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা যাবে না।  

মেজর হাফিজ বলেন, বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ এই ক্ষমতা আগে সংসদের হাতেই ছিল। তাদের নেতা (শেখ মুজিব) ৪র্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে এই ক্ষমতা সংসদের থেকে সরিয়ে নিয়েছিল।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এবিএম খায়রুল হক আত্মা বিক্রয়কারী বিচারপতি। আত্মা বিক্রয় করার মত লজ্জার কাজ আর নেই। তার আত্মমর্যাদা নেই। তারাইবা কিভাবে থাকবে আওয়ামী লীগেরও তো মান সম্মানের ভয় নেই।  

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউননবী খান সোহেল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সৈয়দ সাদাত আহম্মেদ, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম আমিনুর রহমান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।