ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রায় এস কে সিনহার লেখা নয়: বিচারপতি মানিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
রায় এস কে সিনহার লেখা নয়: বিচারপতি মানিক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ফাইল ফটো

ঢাকা: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) লিখেছেন কি-না- তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। সভাটির আয়োজন করে স্বাধীনতা পরিষদ।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘তিনি মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে ৪০০ পৃষ্ঠায় তার কথা লিখেছেন- যেটা মানবিকভাবে ইম্পসিবল (অসম্ভব)। অর্থাৎ এটা হতে পারে না। এটা তার রায়, তবে তার লেখা মোটেও নয়’।  

তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি তার লেখা পড়েন এই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে, তাহলে দেখবেন- এখানে অনেক শব্দ আছে যেগুলো তার আগের কোনো রায়ে নেই। অর্থাৎ এটি পরিষ্কার যে- এ রায় তার লেখা নয়। অন্য কেউ লিখে দিয়েছেন’।  

সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

প্রধান বিচারপতির এক সময়কার সহকর্মী বিচারপতি মানিক আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির কাজ রাজনীতি করা নয়। রাজনীতি করলে সেটি হবে তার অযোগ্যতা। তিনি অনেকভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, শপথ ভঙ্গ করেছেন’।  
 
‘তার আর এ পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে অবশ্যই এ পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে’।
 
আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা।  ছবি: জিএম মুজিবুর তিনি বলেন, ‘তিনি সম্প্রতি একটি রায় দিয়েছেন। রায়ে কিছু আইনের কথা আছে। কিন্তু আইনের বাইরে তিনি শত শত কথা বলেছেন। যেসবের সঙ্গে মামলার বিষয়বস্তুর কোনো প্রাসঙ্গিকতা ছিলো না’।
 
‘একটি বিষয়বস্তুর ওপর রায় দিতে হয়। কিন্তু বিচারপতি সিনহা বিষয়বস্তু থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে গিয়ে অনেক কথা বলেছেন’।
 
মানিক বলেন, ‘সবচেয়ে জঘন্য কথা তিনি বলেছেন যে- বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে নাকি দেশ স্বাধীন হয়নি। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু ছাড়া আরও লোক নেতৃত্ব দিয়েছেন’।
 
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি বলেন, ‘তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই তীর্যক মন্তব্য করেননি, সংসদের সকল সদস্যদের ব্যাপারেও করেছেন। আমাদের সংসদে অনেক বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ রয়েছেন। অথচ তিনি ঢালাওভাবে বলেছেন যে, সংসদ সদস্যরা নাকি ইম্যাচিউর’।  
 
‘সংসদ নাকি অকার্যকর। এই পার্লামেন্টই তো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছে। আর রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাহলে তার পদও তো অকার্যকর’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭/আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা
এমইউএম/এমএ/এএসআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।