ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বেলকুচিতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৭
বেলকুচিতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ঈদের শুভেচ্ছা ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তামাই হাইস্কুল মাঠে কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম খান পাপ্পুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সবুজ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক মজনু শিকদার ও উপজেলা যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক মোক্তার হোসেনকে আশংকাজনক অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

রাজাপুর ইউনিয়ন যুদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল, ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলাম ও ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহীন, বিএনপি নেতা বরাদ আলী, বেলকুচি পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ মণ্ডলসহ বাকি আহতদের বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের দু’দিন আগে তামাই বাজার এলাকায় পাপ্পু গ্রুপের লোকজন আমিরুল ইসলাম খান আলীমের ব্যানারের পাশে ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার লাগাতে যান। এ সময় আমিরুল গ্রুপের লোকজন বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে  রোববার উভয়পক্ষের লোকজন ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়গ্রুপের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, রোববার সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ মোটরসাইকেলে করে তামাই বাজার এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে আমিরুল গ্রুপের লোকজন দেশী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান।  

অপরদিকে, বিএনপির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নির্দেশে পাপ্পুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার গ্রামে হামলা চালান। গ্রামের লোকজন প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়।  

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম খান পাপ্পু বাংলানিউজকে জানান, শুনেছি একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সমাধান করার জন্য যা করণীয় তা আমি করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।