ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নেশার টাকা না পেয়ে ৪ ছাত্রকে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
নেশার টাকা না পেয়ে ৪ ছাত্রকে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পাবনা: নেশার টাকা না পেয়ে শিবির কর্মী আখ্যা দিয়ে চার শিক্ষার্থীকে মারধর করে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

ওই চার শিক্ষার্থী হলেন-বাংলা বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র সজীব হোসেন, জাকির হোসেন ও আরিফ হোসেন এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের হীরা।

 

ওই চার শিক্ষার্থীর একাধিক সহপাঠী দাবি করেন, দুপুর ১২টার দিকে ওই চার শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বসে গ্রুপ স্টাডি করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফের অনুসারী কয়েকজন মাদকাসক্ত এসে তাদের কাছে টাকা দাবি করেন। তারা টাকা দিতে অস্বীকার করলে মাদকাসক্তরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে তাদের মারধর করে লাইব্রেরির একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে শিবির কর্মী আখ্যা দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক দাবি করেন, ওই চার শিক্ষার্থী মূলত শিবির কর্মী নন। ছাত্রলীগ কর্মীদের কথা না শোনায় তাদের শিবির কর্মী আখ্যা দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়েই সমাধান হতে পারতো, পুলিশের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া মোটেই উচিত হয়নি বলে জানান তারা।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বলেন, আমার জানা মতে, তারা শিবির কর্মী নয়, সাধারণ শিক্ষার্থী। তবে তাদের কাছে নেশার জন্য টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান আরিফ ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমরা তো ছাত্রদের পড়াই মাত্র। তবে বাহ্যিকভাবে দেখে তাদের শিবির কর্মী বলে কখনো মনে হয়নি। তবে গোপনে কে কি করে সেটা তো বলা সম্ভব নয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলার খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে লাইব্রেরি ভবনে আটকে রাখা চার শিক্ষার্থীকে আমাদের কাছে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা শিবির কর্মী। এ অভিযোগ সঠিক কি না যাচাই-বাছাই চলছে। তবে ছাত্রলীগ কর্মীরা নেশার টাকা না পেয়ে ওই চারজনকে শিবির কর্মী আখ্যা দিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়টি আমার জানা নেই।

নেশার টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, তারা শিবির কর্মী বলেই আমাদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের নিয়ে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদের কোনো স্থান নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
আরবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।