ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘খালেকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রলাপ বকছেন মঞ্জু’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
‘খালেকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রলাপ বকছেন মঞ্জু’ ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন শেখ হারুনুর রশীদ/ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পাগলের প্রলাপ বকছেন। সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন জনগণকে।

শনিবার (১৫ মে) দুপুর ২টায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হারুনুর রশীদ একথা বলেন।  

শেখ হারুনুর রশীদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রধান সমন্বয়কারী, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ নির্বাচন সম্পর্কে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করছেন।

’৭৫ পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে খুলনার ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এস এম কামাল হোসেন। তখন তিনি খুলনা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রামের বাড়ি হিসাব করলে খুলনা থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বাড়ির চেয়ে এস এম কামালের বাড়ি অনেক কাছে। তিনি অতিথি পাখি বা উড়ে এসে জুড়ে বসেননি।  

তিনি আরও বলেন, এই শহরের মানুষ জানেন মঞ্জু সর্বহারাদের নেতৃত্বে ছিলেন। মঞ্জুর এ আচরণ আমাদের বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে করলে কেউ মেনে নেবে না। তিনি নিজের দলকে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছিলেন। তার আচরণের সঙ্গে বিএনপির বিতর্কিত নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের অনেক মিল রয়েছে।  

শেখ হারুন বলেন, গণমাধ্যমের সামনে তার পায়ের উপর পা তুলে বসা নিজেকে জঙ্গি হিসেবে দাবি করা, মিথ্যাচার করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জামায়াত ইসলামী নেতা অ্যাডভোকেট শাহ আলমকে নিয়ে তিনি জঙ্গিবাদের কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। মঞ্জু যে খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থী, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নেতা তিনি গত শনিবার সকালে তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে তা আবার স্বীকার করেছেন।  

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, মফিদুল ইসলাম টুটুল, অসিত বরণ বিশ্বাস, শফিকুর রহমান পলাশ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।