ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সম্পর্ক হয় না: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সম্পর্ক হয় না: ফখরুল এনপিপি আয়োজিত ইফতারে বিএনপি মহাসিচবসহ অন্যান্যরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলে জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সুসম্পর্ক হয় না।

শনিবার (২৬ মে) রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ইফতারে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সমালোচনা করে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনে গেছেন।

আমাদের অনেকেরই প্রিয় জায়গা সেটি। সেখানে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেছেন, ভালো কথা। কিন্তু আমাদের অধিকারের কথা বলা যাবে না কেন? পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সমস্যার কথা বলে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চান না, কেন এটা হবে? নিজেদের অধিকারের কথা বললে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক কেন নষ্ট হবে? এ সম্পর্কের জন্য কি আমরা পানি সমস্যা ভুলে যাবো? ১০বছর ধরে তিস্তার পানির সুরাহা হওয়ার কথা শুনছি। পানির অভাবে অনেকের জীবন জীবিকা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমরা সু-সম্পর্ক চাই। কিন্তু পারস্পরিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নয়।

সরকারের মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে এখন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। সরকারি হিসেবে ৫০ জনের অধিক হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই মাদক নির্মূল হোক। কিন্তু মানুষ হত্যা করে মাদক দমন করা যায় না।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, এসময় হয়তো কারাগারের অন্ধ প্রকোস্টে আমাদের নেত্রী একাকি ইফতার করছেন। এটি আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত করে। এসময় ইফতার মাহফিলে মন থেকে আসার ইচ্ছা হয় না। তবু রাজনীতির কারণে আসতে হয়!

মিথ্যা মামলায় খালেদার জামিন হয়েছে। সাধারণত এসব মামলায় সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পেয়ে যায়। কিন্তু বিভিন্ন কৌশলে খালেদা জিয়াকে এ সরকার মুক্তি দিচ্ছে না। নানা কৌশলে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য চেষ্টা করছে সরকার।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো ঠিক একইভাবে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের অধিকারের প্রশ্নে এক হতে হবে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।

এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।

উপস্থিত ছিলেন ২০দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান,বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া  এলডিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বিজেপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান,  মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ গোলাম আজগর, ন্যাপ-ভাসানীর সভাপতি আজহারুল ইসলাম,  পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।