ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নড়াইলে খালেদার মামলার জামিনের আদেশ ৫ আগস্ট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৮
নড়াইলে খালেদার মামলার জামিনের আদেশ ৫ আগস্ট নড়াইল আদলতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন বিএনপিপন্থি আইনজীবী। ছবি: বাংলানিউজ

নড়াইল: স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বির্তকিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নড়াইল আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি শেষ  হয়েছে। ৫ আগস্ট এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদলত।

বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুরে মামলার জামিন শুনানি শেষে আদেশের এ দিন ধার্য করেন জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল আহাদ শেখ। দুপুরে ঢাকা থেকে আসা খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন বিএনপিপন্থি আইনজীবী জামিনের জন্য যুক্তিতর্ক উস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দেন।

 

এর আগে  রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৯ জুলাই) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল আহাদ শেখ ২ আগস্ট মামলার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাঁপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে নড়াইল আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৫ জুলাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত।

মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উল্লেখ না করে তাকে ইঙ্গিত করে কটূক্তি করেন খালেদা জিয়া। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়। নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে একটি পত্রিকায় এ খবরটি পড়ে ক্ষুদ্ধ হন রায়হান ফারুকী ইমাম। এরপর ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।  

এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরো একটি মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে একইদিন (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। এ দু’টি মামলা দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কালিয়ার শেখ আশিক বিল্লাহ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।