ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খুনিদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
খুনিদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে একাধিকবার সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তা তারা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এখন তারা আবার সংলাপ চায়। খুনিদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।

রোববার (১৯ আগস্ট) ভোলা সরকারি কলেজের চারটি একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে জাতীয় শোক দিবসের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না এসে যে ভুল করেছে, আবার যদি সে ভুল করে তাহলে সেটি হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল। তাতে অস্তিত্ব সংকটে পরবে বিএনপি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি না জন্মাতেন তাহলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু জীবনের চার হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, করেছেন খুনি মোস্তাকরা। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান তাদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়েছিলেন। জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া খুনিদের জাতীয় সংসদের সদস্য করেছিলেন। আর স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী, মুজাহিদদের গাড়িতে তুলে দিয়েছিলেন জাতীয় পতাকা।

কিছুদিন আগে নিষ্পাপ ছাত্ররা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করেছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সমর্থন করেছি। সেই ছাত্র আন্দোলনকেও বিএনপি দলীয়করণ করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি নিজেরা এখন আন্দোলন করতে পারে না, যোগ করেন মন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে ভয়াবহ অত্যাচার করেছে বিএনপি। তখন তারা বলতো ‘একটা আওয়ামী লীগ পিটাবা, দুই টন গম পাবা’। মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে তারা। এমনকি লালমোহনে মানুষের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।

ছাত্রসমাজের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তোমাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিএনপি যদি আবার সুযোগ পায়, তবে বাংলাদেশের লাখ লাখ লোককে হত্যা করবে। তাই স্বাধীনতার চেতনা, মূল্যবোধ বুকে ধারণ করে আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে।

এর আগে মন্ত্রী কলেজ চত্বরে একটি বিজ্ঞান ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, প্রশাসনিক ও হোস্টেল ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে কলেজে একটি হোস্টেল ও অডিটোরিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাণিজ্যমন্ত্রীর স্ত্রী আনোয়ারা আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব বক্তব্য রাখেন।
 
পরে মন্ত্রী সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ের ২৬৭ জন মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।